গৃহপ্রবেশ সিরিয়ালের নতুন পর্বের আপডেট




গৃহপ্রবেশ সিরিয়ালের নতুন পর্বের আপডেট,


পর্বের শুরুতে আদ্রত শুভকে বলে কাছে ওয়ালেট নেই মোবাইল নেই ভালোই হয়েছে একটা অচেনা জায়গায় স্বামী-স্ত্রী দুজন একসাথে কি রোমান্টিক তাই না। আমার স্ত্রী আমাকে সবার সামনে স্বামী হিসেবে পরিচয় করাচ্ছে শুনতে কি ভালো লাগছে। তাহলে স্বামীর দায়িত্ব তো আমাকে পালন করতেই হবে তাই বলে আদৃত শুভর দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসে। শুভ লজ্জা পেয়ে দূরে সরে যায় তখন আদ্রিত বলে কি ব্যাপার সরে যাচ্ছো কেন যা হওয়ার তা তো কাল রাতে হয়ে গেছে তাহলে এখন লজ্জা পেয়ে কি লাভ। তখন শুভ বলে না এভাবে। তুমি কি সত্যি বলছো। আমি তো এই বিশেষ রাতটার জন্য কত স্বপ্ন দেখেছিলাম আর এভাবে এ কথা বলে শুভ মন খারাপ করতে থাকে। তখন আদরিত শুভকে বলে তুমি আমাকে এই চিনলে। এমনিতে তোমার কোন সেন্স ছিল না আর আমি আমার জীবনের সবথেকে সুন্দর মুহূর্ত এভাবে মাটি করে দেবো। শুভ বলে তবে যে জামা কাপড়। অদ্রিত বলে আমি চেঞ্জ করে দিয়েছিলাম। শুভ লজ্জা পেয়ে বলে ও মা সেকি। অদ্রিত শুভ কে বলে আমার চোখ বন্ধ ছিল। তারপর শুভ অদ্রিত কে জড়িয়ে ধরে আর বলে তোমার প্রতি আমার সম্মান আজকে আরও বেড়ে গেল।


শুভ এবং আদ্রিত একে অপরের কাছে আসে। যখনি দুজনে রোমান্টিক হতে যাবে তখন সেখানে ওরা তিনজন চলে আসে রিদ্ধি রমিত আর সমিত। ওরা বলে আমরা তোদের খুঁজতেছি তোরা এখানে কিভাবে আসলি। বাইরে দুজন লোক রয়েছে ওরা তো আমাদের ভেতরে আসতেই দিচ্ছিল না। তখন সেখানে রুমের মালিক চলে আসে আর বলে আপনারা কারা এখানে ভেতরে আসলেন কেন। ওরা বলে এনারা আমাদের দাদা বৌদি হয় আমরা ওদের কে নিতে এসেছি। ওই মহিলা বলে নিতে এসেছ মানে এদেরকে নেওয়া যাবে না এরা এখানেই থাকবে। ওরা বলে আমরা নিয়েই যাবো। শুভ তখন ওনাকে বলে এরা আমাদের ফ্যামিলি। মহিলা বলে আগে টাকা দাও তারপর এখান থেকে যাও। আদ্রিত ওদের পেমেন্ট করে দেয়। তারপর ওরা শুভর বালা ফিরিয়ে দেয়। বলে এবার তোমরা যেতে পারো। আদৃত ওদের কাছে জানতে চাই বাড়ির কি অবস্থা। ওরা বলে বাড়ির  অবস্থা ঠিক নেই। বাড়িতে সবাই খুব টেনশন করছে সবাই রেগে আছে। তোরা তো সারারাত বাড়িতেই নেই। তখন শুভ বলে এখন আমি কি করবো আবার মা আমাকে ভুল বুঝলো। কি করে বোঝাবো যে আমি নির্দোষ ।



ওরা সবাই বাড়িতে আসে কিন্তু ভেতরে ঢুকতে সাহস পাচ্ছিলো না। শুভ অনেক ভয় পাচ্ছিলো। আদৃত ওকে ভরসা দেই বলে আমি আছি তো তুমি একদমই ভয় করো না। রিদ্ধি যখনি দরজা খুলতে যাবে তখনই অয়োনা ভেতর থেকে দরজা খুলে বাইরে আসে। ভেতরের কি অবস্থা জানতে চাইলে বলে ভিতরের অবস্থা একদমই ভালো না দা ভাই।জেম্মা সবকিছু জেনে গেছে। শুভ একা একা টেনশন করতে থাকে।শুভ বলে মার রাগ করাটাই তো স্বাভাবিক এখন কি করবো। অদ্রিত বলে আমি তো আছি মার সাথে কথা বলে সব সমস্যা সলভ করে ফেলব। অয়না বলে আমার মনে হয় না তুই পারবি দা ভাই। মনে হয় জেম্মা আবারও দরজা বন্ধ করে বসে আছে। আমি সকাল থেকে একবারও দেখিনি। আর কারো সাথে কথাও বলছে না। 


এদিকে বাড়ির ভেতরে মেজো কাম্মা আর ছোট কাম্মা দুজনে মিলে আলোচনা করছিলো আর বলছিল। এবার টের পাবে নিউইয়র্কে এসে সাপের পাঁচটা পা দেখেসে মনে হয় । একবার বাড়িতে আসুক। তখন সেখানে আদ্রিতের বাবা আসে বলে আদৃত দের কি কোন খবর পেলে। তখন ছোট কাকু মনি এসে বলে হ্যাঁ ওরা এখনই চলে আসছে। আদ্রিতের বাবা বলে তোমাদের বড় দিদিভাই তো আবার নিজেকে ঘর বন্দি করে ফেলেছে দেখো কিছু খাওয়াতে পারো কিনা। এ আদৃত আর শুভটা যে কি করেনা। বলে আমি একটু বাহিরে যাচ্ছি ওরা ফিরে আসলে তোমরা দেখো সেবনতি যেন বেশি হাইপার না হয়ে পড়ে। আদ্রিতের বাবা যখনই চলে যাবে তখনই দেখে ওরা সবাই চলে এসেছে। কাকু মণি বলে এইতো তোরা সবাই চলে আসছিস তোরা সবাই ঠিক আছিস তো? বাড়ির সবাই তোদের জন্য চিন্তা করছিল। ছোট কাম্মা বলে চিন্তা করবে না সব দায় তো বাবা-মার। ছোট কাম্মা আদিকে বলে তুই নাকি এ বাড়ির বড় ছেলে। ছোট ভাইবোনদের কাছে তো এক্সাম্পল। আর তুই তোর বউকে নিয়ে এত আত্মীয়-স্বজনের ভেতরে জাস্ট ঘুরতে বেরিয়ে চলে গেলি। 


একবার ও বাড়ির কারো কথা ভাবলি না। তখন শুভ বলে ছোট মা যা হয়েছে আমার জন্য হয়েছে তাই তোমার যা বলার আমাকে বলো অদ্রিত দাকে বলো না। মেজ কাম্মা হঠাৎ করে দৌড়ে এসে বলে সর্বনাশ হয়ে গেছে বড়দি ভাই বাড়ি থেকে চলে গেছে। মেজ কাম্মা অদ্রিত কে একটা চিঠি দিয়ে বলে এটা পেয়েছি বড়দি ভাইয়ের ঘরে। তখন সেখানে ঠাম্মি আর দাদু ভাই আসে। বলে তোরা ফিরে এসেছিস। একটু তো বলে যেতে হয়। তোদের জন্য সবার টেনশন হচ্ছিল। সবকিছু ঠিক আছে তো। তখন মেজো কাম্মা বলে কিছু ঠিক নেই মা। দিদিভাই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। আর কত অপমানই বা সহ্য করবে। আদি সবাইকে চিঠিটা পড়ে শোনাই। আদির বাবা বলে ঠিক যে ভয়টা আমি পাচ্ছিলাম সেটাই হলো। বলে এতগুলো গেস্টের সামনে অপমান টা ও নিতে পারেনি। অনেক সেন্টিমেন্টাল তো। অনেক কষ্ট পেয়েছে। ঠাম্মি বলে তা বলে নিজের বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। দাদুভাই বলে কি করে বসলো বড়ো বউমা আমি তো ভাবতেই পারছি না। অদ্রিত ওর মাকে কল দেয় কিন্তু ফোন সুইচড অফ ছিল। ছোট কাম্মা শুভ কে বলে বাড়িতে আসতে না আসতে শাশুড়িকে তাড়িয়ে দিলি। এটাই তোর আসল রূপ। 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!