দুই শালিক নতুন পর্বের আপডেট 11 জানুয়ারি

 

দুই শালিক নতুন পর্বের আপডেট 11 জানুয়ারি

দুই শালিক সিরিয়ালের আজকের নতুন পর্বের আপডেট,


পর্বের শুরুতে আমরা দেখি কালিপদ গয়না খোঁজার জন্য ওর দিদির ঘরে চুপি চুপি লুকিয়ে আসে। তারপর ওর দিদির মেয়ে টিয়ার সাথে একটু মজা করে। তারপরে গয়না খোজে  কিন্তু পায় না। গয়না খুঁজতে খুঁজতে টিআর একটা ডল কালিপদর হাতে লেগে পড়ে যায়। তাই টিয়া কান্না শুরু করে। গার্গি টিয়াকে নিয়ে আখির ঘরে যায় আখিকে বলে টিয়া কে একটু রাখ না ও কান্না করছে কালীপদ নাকি ওর ডল ফেলে দিয়েছে তাই। ডলটা কে নিয়ে আর টিয়াকে নিয়ে আখির কাছে রেখে আসে গার্গী। আঁখি টিয়ার সাথে ওর পুতুল নিয়ে খেলা করতে যায়। তখন আঁখি খেয়াল করে ডলটা যেন অতিরিক্ত ভারী লাগছে। তখন ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখে একটা অতিরিক্ত সেলাই করা ডলটার উপরে। ও মনে মনে ভাবে কারণ কি এখানে এই সেলাইটা কেন  আর এত ভারী কেন লাগছে এটা। এদিকে রাইমা পি আর কে এর কাছে কল দিয়ে গয়নার কথা বলে। পি আর কে রাইমা কে বলে তুমি একদমই ঠিক কাজ করেছ। আঁখি যেন গয়নার খোঁজ কোন ভাবেই না পায়। গৌরবের চোখে আঁখি কে খারাপ করে দাও যত পারো। গৌরব যেন আঁখি কে সহ্য করতে না পারে। একা হয়ে গেলে ও মৃত্যুর দোরগোড়ায় পৌঁছাবে। আর ওর জন্য মৃত্যুর দরজা খুলবো আমি।


কথা শেষ করে পিয়ারকে ওর অফিসের ওয়ালের দিকে তাকিয়ে দেখে ওখানে আঁখির বাবার ছবি লাগানো। তখনই পিয়ারকে এর ফোনে একটা কল আসে। কল করে পিয়ার কে কে বলে কেমন লাগছে ওখানে আমার ছবি দেখে তোমার। তুমি যেমন আমার থেকে আমার কোম্পানি আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছো আমিও তোমার থেকে সবকিছু কেড়ে নেব। আমি তোমার ফ্যামিলির লোক দিয়েই তোমাকে শেষ করব। ২০২৫ সালটা তোমার জন্য একদমই ভালো হবে না। পিয়ারকে ফোন কেটে সাথে সাথে গোড়া কে ফোন দেয়। গোরা আসলে ওকে বলে অফিসে যারা যারা কাজ করে সবার এনআইডি চেক করতে যেন বাইরের কেউ ভিতরে ঢুকতে না পারে। তারপরে ওই ছবিটা লাগানোর জন্য ঘোড়াকে সন্দেহ করে ওকে মারধর করে।

দুই শালিক নতুন পর্বের আপডেট 11 জানুয়ারি


অন্যদিকে আমরা দেখি ছাতা বাড়িতে গৌরব কাকুমনিকে বলে তুমি চিন্তা করো না সব টাকার ব্যবস্থা আমি ঠিক করে ফেলব। তখন সেখানে গৌরবের মা আসে তার কিছু জমানো টাকা নিয়ে। বলে এই সামান্য টাকাটা রাখ আমি এটা সংসার খরচ থেকে বাঁচিয়ে রেখেছিলাম এটা তোর কাজে লাগবে। গৌরব বলে এটাই অনেক মা। তখন ওখানে আতর  আসে কিছু টাকা নিয়ে বলে এটা আমার পরীক্ষার ফি। এটা রাখ আমার কাছে এখন এই পরীক্ষাটা সবথেকে আগে। বলে কান্না করে। তারপর গার্গীও আসে কিছু টাকা নিয়ে বলে এটা আমার ব্লগের প্রথম ইনকামের টাকা। বড় মামি বলেছিল এটা দিয়ে মায়ের পুজো করতে এটাও তো পুজো করারই সমান বল দা ভাই। তারপর অর্ক সেখানে আসে অনেকগুলো টাকা নিয়ে। অর্কের কাছে এতগুলো টাকা দেখে গৌরব বলে তুই এত টাকা কোথায় পেলি দাদা। অর্ক বলে ভয় নেই আমি চুরি ডাকাতি কিছুই করিনি। আমি আমার ক্যামেরাটা বিক্রি করে দিয়েছি। কাকুমনি তখন অর্ক কে জড়িয়ে ধরে কান্না করে বলে তোর ক্যামেরাটা তোর প্রাণ ছিল ওটাতে বিক্রি করে দিলি বাবা।


গৌরব আতর কে বলে টাকা গুলো সব একসাথে করে দেখ তো কত টাকা হল। তখন সেখানে আখি আসে আর বলে এক মিনিট আমার টাকাটা তো এখনো বাকি আছে। তারপর ওখানে এসে বলে এই ডলটা অনেক দুষ্টু হয়েছে এর পেটে পেটে এত বুদ্ধি। এ কাল রাতে আমার ঘরে ঢুকে ঠিকই গয়না গুলো খেয়ে নিয়েছে। অর্ক বলে এটা তো টিয়ার ভাল্লুক  ওকে আমি কিনে দিয়েছিলাম। ঝিলিক বলে হ্যাঁ দাদাভাই এটা টিয়ার খেলনা। কাল রাতে বৌদি গনাগুলো চুরি করে এর ভিতর লুকিয়ে রেখেছে। তারপর ঝিলিক গোনাগুলো বের করে সবার সামনে দেখায়। রাইমা কোন কথা বলে না একপাশে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। ঝিলিক রাইমা কে বলে তুমি আমার আর গৌরবে সম্পর্কটা নষ্ট করার জন্য আর কি কি করবে বৌদি। অর্ক রায়মাকে বলে তুমি আসলেই একটা ছেলের স্ত্রী হিসেবে লজ্জার। পিসিমণি বলে তুমি মনে মনে এটা কি করে করলে গো? এটা তুমি করতে পারলে। রায়মা বলে কেন জানেন না আমার সাথে তো আপনিও ছিলেন।

দুই শালিক নতুন পর্বের আপডেট 11 জানুয়ারি


পিসিমণি বলে তুমি তো আমাকে কাল রাতে ওদের ঘরে নিয়ে গিয়েছিলে ওদের ভিতরে মনোমালিন্য হয়েছে সেটা দেখাবে বলে। এ মা তার ভিতরে আমি কি করে জানব যে তুমি আসল গয়না গুলো সরিয়ে নকল গয়না গুলো রেখে দিয়েছো। গৌরব মনে মনে ভাবে আমি আখির সাথে অনেক অন্যায় করেছি তারপর ও আখিকে সবার সামনে সরি বলে। তারপর আঁখির কাছ থেকে গনাগুলো নেই। এরপরে আমরা দেখি ওরা সবাই মিলে হাসপাতালে যায় কাকিমনির সাথে দেখা করতে। তখন গৌরব ঝিলিক এক সাইডে ডাকে চোখের ইশারা দিয়ে। ঝিলিক কে ডেকে নিয়ে গৌরব বলে তোমার বন্ধক রাখা  গয়না গুলো আমি ছাড়িয়ে দেবো। ঝিলিক বলে না আমি নিজে ইনকাম করেই আমার গয়না গুলো ছাড়াবো আপনি দেখেন। অন্যদিকে আমরা দেখি আখি দেবার গ্যারেজে আসে। ওখানে দেবা ছিল না শুধু পল্টুদা একাই কাজ করছিল। আঁখি পল্টু দার কাছে জিজ্ঞাসা  করে। দেবার মা কেমন ছিলো গো। পল্টু বলে আমি যতটুকু জানি তুইও তো ততটুকু জানিস দেবার মা কেমন ছিল। আঁখি তখন কথা ঘুরিয়ে বলে না মানে আমি যতটুকু জানি দেবার মা তো অনেক ভালো ছিল। পল্টু বলে হ্যাঁ মাসি আজকে বেঁচে থাকলে অনেক খুশি হত বলতো ঝিলকি দেবার বউ হয়েছে। তোকে তো ঝিলকি বলে ডাকতো। তখন আঁখি জিজ্ঞাসা করে দেবার বাবা খুশি হতো না। পল্টু বলে তুই আমার কাছে যা বলেছিস বলেছিস দেবা কে কখনো বলিস না। ওর বাবাকে আমরা কেউ জানিনা। ওর বাবা ওদের অনেক ক্ষতি করেছে। তখন আখি মনে মনে ভাবতে থাকে পিয়ার কে স্যার দেবার বাবা নয় তো। পল্টু বলে আমার কি মনে হয় জানিস ঝিলিক দেবা জানে ওর বাবা কে আর সেই কারণে ওর বাবার কথা জিজ্ঞাসা করলেই রেগে যায়। তখন সেখানে দেবা চলে আসে আর বলে কার বাবা। আঁখি কথা ঘুরিয়ে বলে আমার বাবার কথা বলছিলাম।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!